বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী পোস্ট মাস্টার আউয়াল হোসেনে’র বিরুদ্ধে দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
উত্তম কুমার, বাকেরগঞ্জ \ বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার আউয়াল হোসেনে’র বিরুদ্ধে দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় গ্রাাহকদের অভিযোগ, কলসকাঠী ডাকঘরে এমন দুর্ণীতি ও অনিয়মের কারণে গ্রাহকরা পোস্ট অফিসের কার্যকর সেবা না পেয়ে পোস্ট অফিস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তারা আরও জানায়, কলসকাঠী পোস্ট অফিসে জাতীয় সঞ্চয়পত্র কিনতে ও ভাঙ্গাতে গ্রাহকদের টাকা দিতে হয় পোস্ট মাস্টারকে। টাকা না দিলে ফরম নাই বলে তিনি কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেন। সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গালে খুচরা টাকা দেয়া হয় না। এতে গ্রাহকরা পোস্ট অফিসের সেবা নিতে এসে নানাভাবে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিনি অফিসে আসেন প্রতিদিন ১১টা থেকে সাড়ে ১১টায় মধ্যে দুপুর ৩টার পরে তিনি চলে জান। পোস্ট মাস্টার আউয়াল হোসেনে’র দুর্ণীতি ও অনিয়মের বিষয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দিলে তারা ১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১টার সময় কলসকাঠী ডাকঘরে গেলে তাকে লুঙ্গি পড়া অবস্থায় অফিস করতে দেখা যায়। অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পুরো অফিসটি একটি ময়লা ও নোংড়া ডাস্টবিনের স্তুপে পরিণত করে রেখেছে। অত্র অফিসে ৫জন কর্মচারী কর্মরত আছেন তারা হলেন পোস্টম্যান বিমল সিকদার, রানার শাহজাহান, আ: রাজ্জাক, আইয়ুম আলী। এদের বিরুদ্ধেও রয়েছে অফিস গাফিলতির অভিযোগ। এ ব্যাপারে কলসকাঠী ইউনিয়নের বেবাজ গ্রামের বাসিন্দা নুরু হাওলাদার অভিযোগ করেন, তিনি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অপেক্ষা করেছেন পোস্ট মাস্টারের জন্য। পোস্ট মাস্টার সাড়ে ১১টার সময় অফিসে ঢুকেছেন। দুর্ণীতি ও অনিয়মের এব্যাপারে পোস্ট মাস্টার আউয়াল হোসেন জানান, আমি অফিসে কোন দুর্ণীতি ও অনিয়ম করি না। লুঙ্গি পরে অফিস করার ব্যাপারে তিনি বলেন, গরম পড়েছে তাই লুঙ্গি পরেই অফিস করছি। এ বিষয়ে বরিশাল সদরের সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল (মেইল ও অভিযোগ) মোহাঃ এনামুল হক বলেন, ‘পোস্ট অফিসে কোনও ধরনের দুর্নীতি হলে কঠোর হাতে তা দমন করা হবে’। পোস্ট মাস্টার আউয়াল হোসেনের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যদি সত্যতা প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবেপোস্ট মাষ্টারের ক্ষামখেয়ালীপনা ও অনিয়মের ফলে প্রতিদিন গ্রাহকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পোস্ট মাস্টার আউয়াল হোসেনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও অন্যত্র বদলীর দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।